Friday, September 13, 2019

দার্জিলিঙের সফরনামা



২৪/০৪/২০১৭
পাহাড়ে কেউ সন্ধ্যাবাতি দেয় না
পাহাড়ে শাঁখ বাজে নি কোথাও
উসকোখুসকো হাওয়া রাতের প্রাচীর গড়ে
দাপুটে হাওয়া রাতের প্রাচীরে আনে মেলানকলি
পাহাড়ের বুকে রাত জাগি সোজাসাপটা
বিগত বাতাস আমাকে ছুঁয়ে আজান ডাকে
শ্বাসবন্ধ শুনে চলি ট্রেনের হুইসেল
পাহাড় ভর্তি খেলনার ঘরবাড়ি
এতটা কাছে যেন বুকে জড়ানো
মায়াঘন কোনো প্রত্যাহারের স্বরলিপি
ধিকিধিকি আগুন ভেজানো সাঁঝবেলা


২৫/০৪/২০১৭
হাওয়া ভাষ্য বিপদ বাড়াল
যেনবা পা হড়কে খাদের কিনার
শ্রুতি বিশ্রুত লেবং কার্ট রোড
হলকা কেবল শব্দের রোজনামচা
দূরের পাহাড় আলো হাতে জাগতিক
এক একটা আমি বেহুঁশ দাঁড়িয়ে থাকে
পরাভূত এক ব্যালকোনীর মৃদু শয্যা
গায়েত্রী মন্ত্রের মত পাহাড় প্রিয়তমা
অবিকল রোদ ছড়িয়ে ছড়িয়ে উঠে আসা
সান্ধ্যগীতির অতল হতে নিজেকে দেখছি
বিষাক্ত যে সকল নভতল ছুঁড়ে পাক্ষিক
মেঘাতুর এক আদাব রঙের রাত নামে


২৬/০৪/২০১৭
ধাতব মিশ্রিত আলোর কিনার
ঢালু পথের নিরালা
আপ্রাণ প্রাণবন্ত সরেজমিন
চেনা গলার আওয়াজ নেই
বিশ্রুত বিখ্যাত সন্ধ্যামালা
যেমতো খুঁজতে চাওয়ার নেশা
চড়াই নিংড়ে অগোছালো পাহাড়ী
আবদারে কেবল উতলা হচ্ছে চিরন্তন
হাঁটছি পথ, যে তাড়নায় শুভ্র থাকে
থাকে কিছু মেলবন্ধন অথবা আবছায়া


২৭/০৪/২০১৭
নিপুনতায় শিবির গড়ছে
মথের সাম্রাজ্য
আগুন চুরির গল্প শুনি
শুনছি হৃদয়ের উন্মুক্ত নিঝুমতা
ম্যালের ঢালে দাঁড়িয়ে দেখা
কিশোরী বেলা কাছে ডাকছে আচম্বিত
কিশোরেরা স্কুলের গন্ডি পাড় হওয়া
সুপ্ত কিছু ভ্রমরের মত অনাসক্ত
পাইনের বুক চিড়ে জাগছে কুয়াশা
মধ্যম সুরেলা ঢালু নেমে আসছে
পরিযায়ী বৃষ্টির সুর মাতোয়ারা


২৮/০৪/২০১৭
অক্ষর মেলে ধরি রোদের চাদরে
বৃষ্টির ভারী নিয়ে পাহাড় সবুজ
পাইনের বনের উচ্চতায় শুনশান বাঁচি
জলের স্রোত বুকের গভীরে ডাকছে
রাস্তার ঢালে ধরে রাখছি বিগত শয্যা
ময়ালের মতো পাহাড় জড়িয়ে নামছি
অরেঞ্জ ভ্যালির পথে ছায়ার মাখামাখি
শীতের হলকা তোমার মতই নাজুক
অপেক্ষার প্রত্যাহারে পাহাড়ী দিন গুজরাণ


২৯/০৪/২০১৭
মধ্যরাত এসে কুয়াশার নির্যাস রেখে যায়
নিসর্গের গভীরে পথ খুঁজে যায় দুর্বিপাক
খাদের কোলে উড়ন্ত কৌতুক স্বরলিপি শেখায়
শ্বাসরুদ্ধ দাঁড়িয়ে দেখি আলোর পাহাড়
পাঁজরের কৌতুকে আলোগর্ভ মৃণাল ডেকেছে দহন
পোড়া পাঁজরে ধ্বণির বিম্বিত প্রতিরাত
জন্মলগ্ন ছুঁয়ে আমাদের প্রতীকী উৎক্ষেপন
রাত এসে শুনিয়ে যায় আটপৌড়ে কল্পকাহিনী
রাতের অতলে বালুচরে মেঘ নামে অচিন
রাতকে ডাকি নিঃসঙ্গ প্রতিবিম্বিত মুদ্রায়


৩০/৫/২০১৭
ছিন্ন হয়ে আছি তীব্র কাঙ্কিত
কাঠের পাটাতনে হাওয়া আসে
যেন হুতাশন
ক্যাকটাস মেলে রাখা ঝুল বারান্দা
আলুভাতে দিব্যি সময় কাটছে সোহাগী
উদভ্রান্ত বিরোহী স্মৃতির পিছুটান
চড়াই শেষে উৎরাই যেন আবেগ ঘন
গেরি গুগলির গল্পে সন্ধ্যা কাবার
মেঘ নামে জানালার আতসে
খুঁজে পেতে চায় দুর্নিবার কুহুতান।


৩১/০৪/২০১৭
মায়াঘন মেঘ ঘনিয়ে আসছে
নিরাপদ এক সংসার জমেছে ব্যাগে
আসমানী বিভেদের মতো মুখচোরা
বিগত বয়স ছুঁড়ে ফেলি খাদের কিনারে
ঘাসফুল জমা করে পথ হাঁটছি চড়াই
নিঝুম উৎরাই জমা হয় পিঠের ব্যাগে
ভাড়ী হয়ে মেঘ ঝরে যায় ঘোলাটে
বাদামতামের পথে রাজপথ নেমে আসে
যে পথে আজান গাঁথা ছড়িয়ে রয়েছে


১/৫/২০১৭
বিগত স্নান ছায়ার আবডালে রাখা
মেঘের গর্জনে তন্দ্রাচ্ছন্ন স্নায়ুকাল
যুগল যেমতো বোধের পরিসরে হলকা
মায়ামৃদু পাক্ষিক
          
হাওয়ার দাপটে গুম্ফাবাড়ী স্থানুবৎ
নদীরা এখানে গহীন
          


২/৫/২০১৭
শিকড়ের নীচে ছড়ালো মধ্যরাত
সত্যিকারের একটা আকাশ
          
জলের প্রপাত এসে দুপুরকে বলছে
    
রক গার্ডেনকে নীচে ফেলে
গাড়ী চলেছে ঋষিহাট
খুঁজে যাচ্ছি পাখিদের বিশ্ময়
পাইনের ঘুম জড়ানো
পাথুরে পথের বসন্তবিলাপ


Saturday, March 2, 2019

মহাকাল



তীব্র পঞ্চম এসে মিশেছে স্নায়ুতে
মহাকাল তোমাকে ডাকছে নামগোত্রহীন
একটা কবিতা কুড়িয়ে ধূলোর আঁচল
গড়ে তুলছে মধ্যমা
মেঘলা আবছায়া মান্যতা পাচ্ছে
আগুন কুড়িয়ে নিতে জানে যে সমকাল
তাকে মুহূর্ত সীমানায় নিশানে ডাকছে
আহা! আহা! সে সকল বৃদ্ধজন
যেন বা পিতামহ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে
মহাকাব্য
চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে আপনমন
ক্ষমা বৃদ্ধ কোনো পড়ে নেই
এই বদ্ধ প্রাঙ্গণে
ইতিবৃত্ত ছুঁয়ে যাক মুহূর্তকাল
পৃথক কিছু যক্ষ খুঁজে পাক মাধুকরী মন্ত্র
এ রূপভেদ
সচক্ষে জমা করে রাখছে, আবহস্নান
ভেজা গা থেকে ঝরে পড়ুক নির্মাণ নীতি
আঁখি পল্লবে জেনানা স্পর্শকাতর
আলতো ডাকে
পতঙ্গ পুরুষ হয়ে উড়ে যাবে কেন্দ্রবীজ
আর যেসব আমাদের
প্রাণের পরে ছুঁয়েছে নিজাম
কেন এতো মায়া ঢাকা
পৌরুষ জমিয়ে উজাগর হয়ে ওঠো
হে মহাকাল সনাক্ত করছো মুক্ত আঁচলে
তীব্র থাকুক, বিজিত থাকুক
হয়ে যাক কেন্দ্রবিমুখ
ফুটে থাকা দেশকাল
আহা পথিক
ডেকো না এমতো তীব্র মহাকালে
পথিক...

Saturday, January 19, 2019


শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়-এর প্ৰথম কাব্যগ্রন্থ  বন্দিশ  



সকলকে পড়ার আবেদন  জানাই