Sunday, January 24, 2016

উজাগর




খুটিয়ে তোলা ব্রণের দুধ
আমার বয়ঃসন্ধিটা ছিল ঘাবড়ে যাওয়া হাইমেন
আর একটা ভৈরবী রঙ্গ
লে হাওয়ালে ওয়াতন সাথিয়ো হতে
মজ্জা তন্তুর পীয়াসী লোকাতুর
রিগ্রেশনের গ্রেভিতে
আবীর মোড়ানো
খুনিয়া বস্তি
দাঁতাল জি হা-জু-রী
তরুক্ষীর ললাটে বেহাগ ছড়ালো
বসন্ত বউরি


**
আইকম নামের মুষলাধার স্নায়ু
ক্লাসরুমের বাইরে দাঁড়া বলেই ভাগলবা
জিরাফ, ধাক্কাদেওয়া ইউরিনাল
ক্লিশে মতো তুবড়িবাজি ও
শিশি ভর্ত্তি জিভের আতর।
হে কনসার্ট ফেরত ডিজিটাল আখর
রেফের মুক্তকায় ব্রণের ঢেকুর
দিব্য সংশয়শূণ্য
হোঁচটে নামাচ্ছি এক্কা-দোক্কা।


**
জনান্তিকে বেগতিক বিদ্রুপকামী
ওয়াআললাহ্ গুলে খাচ্ছেন ক্যাপুচিনো
চিনা বস্তির সাতাত্তর, উল্টো পীরের
মাগী-মদ্দায় ব্রণের সাংসারিক
তীব্র কটাক্ষ লেপন
তন্দ্রাহত আইল্যাশ
পিরান হা জনিত হাইরাইজের ইততালা
আমার হাতের কিন্তু রেখাপাত আছে
বেফিকর চাঁদনি ব্যাকরণ                                                            
ওগো তুচ্ছ
ওগো নেত্রমণি
মুদিয়ালী নির্জন তিলের ভ্যানিস
পয়েন্ট ব্লাঙ্ক
অগত্যা পাল্টে যাচ্ছে উপদ্রুত


**
সেসব ব্রণের গর্তে নধর ডায়ালগ
ইরেক্ট মার্কা মর্মবিধুর অনুপ্রাস
মাজারে জিন আছে
আছে একটা ধুমসো নাগর
হাঁটু ভর্ত্তি গজিয়ে ওঠা মোহন বাঁশি
আল্লাহতালার শব্দ কেটে বেড়িয়ে আসে
তিস্তাতোর্ষা
কুয়াশায় খাবি খেতে খেতে বিশ্বাসবাবুর কুলকুচে
উর্দু লিপি শেখে বিনিময় প্রথা
আমার শহরে হজরত নামেন। 




Saturday, January 16, 2016

উত্তরায়ন


#
শব্দ ঘর

টুকরো নধর উৎকল

আচ্ছন্ন ফুৎকার আয়ূধ

তনহা মালঞ্চ আজিকার

শব্দ ঘর শব্দ বুনে বুনে ঘর

শব্দের ঘর

#
অবাধ ক্লীবজাত আস্কারা
ভজিয়াছে মন দুগ্ধবাসনা
পেখমে পুচ্ছে মলমল নিদারুণ
কৃষ্ণ পেতে মন আগে কালী সাধনা

#
বেখবর হাওয়া দমাদ্দম
ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিদায় কাঙ্খা
হাঁটছি হাওয়া
মেগা সিরিয়াল
একটা সিরিয়াল কিলার
পা টিপে টিপে দাম্পত্য

#
এভাবে এগিয়ে আসা
যা কিছু দীর্ঘ
সকালের আভা মেখে
প্রাত্যহিক একটা হিতৈষী শব্দ
শব্দবন্ধজাত মৈ্থুন প্রক্রিয়া

#
সময়ের ভিতরে মশারী টানাই
ধাবা থেকে তুলে আনা খাটিয়া
সাঁতরে ওঠে ম্যানিকুইন
ঝোলা গুড় থেকে দৌড়ে আসে আটপৌঢ়ে
ক্যারামালাইজ
খাবি খায় মাঝদুপুর
ভীষ্মায়ন
শয্যার রসিগুলোতে রঙ লাগাই
আঁচড়ে মাখনের মাফিক পিঘালতা সূরজ
আজ স্বর্গারোহন
আজি তবে পুড়িয়ে খাচ্ছি আনাজ
হে পিতামহ অভিসন্ধির আঁতুরে
আজ রাতের রসদ শুধু এই চা-ভাত।

#
সেসব গল্পে আজ আর যাব না
ফিরে তাকাচ্ছি ঘরে
আর হ্রেষার দাপটে ঘরময় বাজিকর
শরীর, শরীর থেকে গড়িয়ে আসা সান্দ্র
সান্দ্র শরীর আর শরীর খুঁড়তে গাঁইতি শাবল
ঠিক ভ্রুয়ের মাঝ হতে বেড়িয়ে এসেছে চামচ
আর সেখানে চোখের সামনে দুলছে নিয়ন
চামচের গর্তে মার্বেল বলে উঠছে চান্দ্রকোষ
এইভাবে ক্রমশ কবিতা থেকে দূরে এসে
কামড়ে খাচ্ছি প্যারালাল টেক্সটের শারীরিক
কবিতা হয়ে উঠেছে ঘর

#
সুগন্ধ জড়িত হরিতাল ঋ
ছন্দ মথিত মৃদু সঞ্চরণ
আরাধ্যগামী
ওগো বাঁশরি মেটালিক
লা ইল লাহ্ ইল্লিলাহ্
বাঁশুরিয়া

#
মেঘলা ছাদের আড়ালে রসুল
ও মেঘময় শঙ্খচিল
শ্লথ চৌহদ্দির ধারাভাষ্যকার।
নদী পেড়োচ্ছে অ্যাভান গার্দ
অসতো মা সাদগময়
হে মাধব কুলপতি...
তমসো মা জ্যোতির্গময়
নশ্বর জিভের হোঁচটে নিরন্ন হাত পেতে আছি