Monday, February 29, 2016
Tuesday, February 2, 2016
বাঞ্ছাকল্পতরু
বসন্ত বিচ্যতু ক্যাথরিন
পরিমাপ ছুঁতে আসা অঙ্গার
আক্ষেপের অনুবাতে মাভৈঃ বলছে নূর
ছেঁড়া পুতুল টানছি
অসুখ বলছি কালাজ্বরমুখী
বহ্মকমল খুলে চৌচির নাভিতল
মৃতদার ও শুভ্রবসনা
সিরিঞ্জ ভর্ত্তি গোধূলি লগ্ন
এরপরও বলবে এসব কবিতা হচ্ছে?
আমার লোকায়ত উড্ডীন থতমত
নেশা ভাঙ থেকে ঘামে ভেজা ইভা
হুমড়ি খেয়ে আছে
যেভাবে ইশারা খাচ্ছে স্কুলড্রেস্
পাচমেন্ট বলে রাখছে অষ্টমঙ্গলা
যৌন ধাতুর কেন্দ্রে আঘ্রাণ ছড়াচ্ছে
মর্মভেদী লোনাঘাম
আলাদাভাবে ভাবতে চাইছি শীত ও বিনুনী
ইনতেকাম্ ভাত মাখছে প্রীতিপরায়ন
ঘনিষ্ট বুক রগড়ে পরান্মুখ অবহুঁ চাহিয়া
বয়স বাড়ছে আর কার্ভেচার জমাচ্ছি ডোমেনে
চক্রবাকী র্নৈঋত বাতিল রাখছি সকাতরে
সন্ধ্যা নামছে
গতিপথচ্যুত
এরপর আর নিজেকে ভালো না বেসে থাকা যায় না
শীত কমিয়ে আলো নিভিয়ে লিখতে বসা
আন্দালৌ জাত এজলাস এপাড়ায় বেপাড়ায়
মাঘের গোচরে জোনাকি ঢালছে কীর্তিনাশা
নাবিকের মুস্তাফি উন্মনা
মুখচোরা অতন্দ্র ধোঁয়া
জরায়ু জুড়ে ডাইনী তন্দ্রা
লক্ষ্য রাখছি ওগো ঘনায়মান
গর্ভ ধূপ আত্ম স্বভাব গরিমা
এখনো বলছি এগুলো কবিতা হচ্ছেনা
লেখার আদলে শীর্ষসুখ বাগদি
উম্ কুড়িয়ে
সহচরী লীনতাপ
আও, লেগাসি দীপ্ত তপোবন
আদরণীয় দীন দুনিয়া
অক্ষর বোনার অতিরিক্ত
কোন মুদ্রাদোষ নেই
নেই মর্ত্য আঁচল সংগোপন
ত্বরা, জরা, তন্দ্রাহারা এ কালোচ্ছ্বাস
প্রভু নাভিরন্ধ্রে শ্লেষাময় কিস্তিমাত
পুঙ্খানু রংমশাল
ওগো সীমাহীন
ওহে সাঁই
প্রবাদের হাতে ভাসালাম
এইবার ঠিক ঠিক দেখতে পাচ্ছি
পতিতা বাতাস ফোস্কা ফেলছে হাহাকারে
প্রান্তবর্তী অ্যালগরিদম
অস্ফুট অপরাহ্নগুচ্ছ
আচমনে উঠে আসে যুক্তাক্ষর
লোহাগড়
বজ্রসেন এই তল্লাটে গুনীন সেজে
এইভাবে ছুঁতে চায় অনুকম্পা
আঙুলে ছড়ালো বিতশোক পূর্ণস্য
পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেভাবশিষ্যতে
আর শোণিতের আরো অনেক পশ্চিমে
ধূলিবিন্দু কনিয়াক অপরাহ্নে -
শক্তপোক্ত কৌন্তেয় জালিয়াত
মস্করা মাখা যু্যুধান ছিঁড়ে
গলদ ঘর্ম মহেন্দ্রনিন্দিতকান্তি
তবু এখনো বলবো কবিতা হচ্ছে কোথায়!
নিরবিচ্ছিন্ন একটাই কবিতা কিভাবে?
কবিতার কথায় খিস্তিখেউর টানছি রেখায়
অবশিঞ্জীনি খুসবু আর কুহু বাতাসগামী কবিতা
টানা ছ’ঘন্টা কান্না উগরে
বদগন্ধ প্রপাতে হুলিগান দোঁহা
গুলালে নামাজে আলতো কালাজ্বর
এইসব সড়গড় লিখে যাচ্ছি আসলে
কাঁদছিনাতো ছিঁটে-ফোঁটাও-
ব্লার হতে চাওয়া শ্যামঅঙ্গ
কি নিথর দীনহীন এইপাড়া আর সে’পাড়া
এখনতো মাঝে মধ্যেই সন্দেহ করে বসি শব্দদের
হদ্য কাঙাল দাঁড়িয়ে থাকি অক্ষরের পরিবৃত্তে
হাওয়াঘর জুড়ে পুরবাসী, রাজ্যচ্যুত ত্রিনয়না
শুরু ও শেষের ঠিক মাঝে শাফলরূপী ইবাদত
আর এইসব ক্ষণ কবিতা হয়ে যায় লেবুফলে
আছে ক্রণিক, ময়ামে শিফনে বিম্ব দ্যুতি মুহ্যমান
দুঃখ পাবে একপশলা ভাঙচুর, দ্যাটস্ আমোরে
নর্তকী এ্যাভিনিউ, মেঘের রাস্তাঘাট, মোহন আলসেমি
আর লেবুফল গড়াগড়ি যায় রোদ মাখা বিছানাতে -
অন্তরাল চায় দানবীয় সীগাল, কবিতা মাখি দোস্ত
পালাগান ভুবনময়ী, মানিনী রাধা দাঁড়িয়ে রয়্যাল ব্লুতে
দোস্ত স্মৃতি সুচেতনা নয় কুঠুরি, এ তব অষ্টম দরজা
একটা বেলোয়ারি ছন্দ ঢেউ তুলছে, বলছে খাআআবো-
খুঁটে খুঁটে দরদী ঘাম; উপলে সংক্রামিত উপক্রমণিকা
তবু বলি দোস্ত স্নেহবতী অক্ষরজাল জাপটে থাক সনাতনী
আমাকে আধেক আতপ রঙা দেশকাল গড়ে দিক তিলেতিলে
সাঁই স্রোতের কিঞ্চিত এভাবেই গুজরাণ
মাঘের চাদরে শতছিন্ন ভিখারিণী
ছায়াছন্ন কুন্ডলীর সহজিয়া এতাবৎ
আঁধার পশলা চূড়ামণি
ওগো নীরবে রাখি
কালঘাম পুলকিত সখী লো
হাত পাতি মুর্শিদ আয়ুরেখা সম্বল
শব্দ কেটে কেটে মধ্যরাত গড়ে তোলে
মা তোমার দুধের আদল
Subscribe to:
Posts (Atom)