Saturday, October 15, 2016

আত্মসংযমের পঁচিশবার

৬।

বৃষ্টির ভিতর দাঁড়িয়ে ছুঁয়ে দেখা পাখীর লঘু পানসি
ইনসটলেশনে ব্যবহার করছি মৃত জন্তুর বাঁকা হাড়
জড়ো করে এনে রাখা নামান্তর ও স্পর্শকাতর নির্বাচিত
মৌনতার ঐ পাড়ে গলে গলে পড়ছে রঙ, উন্মুক্ত ঘনত্ব প্লাবিত
আলাদা ভাবে দেখি না, বিস্ফোরণগুলো; হেঁটে যাচ্ছে দেবীর পা
ঘাড় গুঁজে মধ্যমা প্রসারিত দেবী পা আঁকছি সঙ্গে ধানের ছড়া
আলতো চাপে নেমে আসছে অবলীলার মুদ্রা শিরীষ
আত্মগ্লানি; কেন্দ্রীয় সমানুপাতিক, দেবী তুই চাঁদের চাঁদোয়া।
আমাকে কিছু সমউচ্ছ্বাস দিয়ে যা; কিছু দুর্লভ নকসীকাঁথা।
বাঁকা মধ্যমা কড়া পরে গিয়েছে, কাঁথা সেলাইয়ের সংসার
বাঁকা হাড়, বাঁকা পা, বাঁশের লাঠি আর বাঁকা পশলা; জল
এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে সদ্য বোনা প্রজাপতি, বাকি জল মাদুরে
গড়িয়ে গড়িয়ে আমারই দিকে, পা গুটিয়ে বসে আছি ভয়ে
মাদুরে চাপ, গড়াল জল, জড়িয়ে যাচ্ছে আলোর কার্নিশ…
সঙ্গে সঙ্গে এসে দাঁড়ালাম ফাঁকা ঘরের গর্ভের ভিতর
ছাদটা মেঘের, শান্ত শুভ্র নীল আর ছেঁড়া সাদার পানসি
ছাদটা নীল, মেঘ গুলো ছেঁড়া ছেঁড়া অথচ বৃষ্টি পড়ছে ঘরে।
চারপাশের দেওয়ালে সাদা উজ্জ্বল আলো, ঠিকরে যায় যে সাদা,
এক হাঁটু জলের মাঝে দাঁড়িয়ে মেঝেতে ছড়িয়ে দিলাম নক্সিকাঁথা
আর মাঠ হয়ে গেল চারপাশ, বৃষ্টি ছড়ানো ইউসুফের মাঠ
প্রজাপতি উঠে উড়তে শুরু করেছে, দেবী পা হেঁটে যাচ্ছেন
নরম ঘাসের ওপর, বৃষ্টিতে গলে যাওয়া গোড়ালীর তলদেশ
ধানের ছড়াগুলো ডানপাশ দিয়ে ছড়িয়ে; শ্যওলার বৈভব
লঘু জল ভাড় হীন, আটকে যাচ্ছে ঘাষের ডগায়
দেবীকে আদরে হাত ধরে বসালাম, জমা জলের শীর্ষ বিন্দে।



Monday, October 10, 2016

শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রকাশিতব্য বই...


আতুরঘর হতেই... ঐ যাকে বলে  আর কি...  furtive glance... 






উপরের বইটি হবে আমার প্রথম কবিতার বইয়ের নাম। এ নামে আর কোনো বইয়ের এরপর ইতিমধ্যে  প্রকাশিত না হলেই ভালো, আগে যদি একই নামে কবিতার বই থাকে, আমি নিজেই সবচাইতে বেশী খুশী হবো সেক্ষেত্রে ... পুনরায় একই নামে প্রকাশ আশা করি স্মৃতিধার্য হবে না। কারণ বইটি প্রকাশে অনেক সময় লাগবে, আর নামটির পেটেন্ট ও ইছে করেই নিচ্ছি না। বাকী সবটাই পাঠক পথ দেখাবেন... 






রুটম্যাপ হবে। পাহাড় থেকে ঘুরে আসি আগে, তারপরই রুটম্যাপ করব। রুট ম্যাপ ছাড়া পাহাড়ে তো  একলা  ওঠা যায় না। কাটা কম্পাস, ছাতা- ব্লেড সবটাই দেখছি লাগে। যখন  লিখেছিলাম  কয়েক বছর আগে এসব, তখন পড়েছিলাম মাত্র, এবার পড়ছি যত তখন দেখছি বেঁচেও ফেলছি। খালি বলি কি মেরে ফেলবেন না প্লিজ। তবে আখেড়ে ক্ষতি পাঠক  আপনারই যদি লেখা পড়েই থাকেন, আর পড়তে পাড়বেন না... আর আমার পরিচিত জনেরা যারা... আপনারাই তো জানেন আপনাদের কাছে আমার যে কোনো রুট ম্যাপ নেই... বড় জোর... 
আই ক্যান ফলো মাই রিদম অ্যান্ড ব্লু... 






সমহারে এ পৃথিবীতে নাকি কিছুই হওয়ার কথা নয়। হয় ও না। এটাই সায়েন্স। তবে কিনা সমনামী  হয়। সমদর্শীও। আমার অনুগল্পের এই বইটিতে কিন্তু কোনো পুচকে পুঁচকে গল্প নাও থাকতে পারে, এটা একটা প্রব লাকার আয়তনের অনুগল্প ধরুন উরসুলার বয়সের ধারেকাছে চলে গেল, আর ড্রাম বাজালো অস্কারের মত।  এইসব ভাবি, তাই বলে এদের সমতুল্য একথা আবার ভেবে বসবেন না যেন। অগত্যা নইলে আবার গলার আওয়াজ সব কথা হারিয়ে গো-বেচারা তালাবন্ধ।





কতটা দীর্ঘ হলে একটা কবিতা দীর্ঘ  হয়? দীর্ঘতার থেকে জন্ম নেয় প্রত্যয়। প্রত্যয়ের রঙ আকাশী। আকাশী আকাশের আরেক উৎসব আজিকার এই অকাল বোধন। এই বোধন, লগ্নজাত রঙ অতএব... অপেক্ষার রঙ, নিখাদের রঙ, চুয়ানো রঙ, পরিপত্রের রঙ, সজনি রঙ, এষণী রঙ, আনন্দের রঙ, অপেক্ষার রঙ, অনিন্দ্যকান্তি তরাইয়ের  রঙ... 




এই কবিতার বই নিয়ে আর কিই বা বলবো!!! যা লিখেছি তা আমারই লেখা, যা লেখা আছে তাই থাকবে সেমতো, সেই আকারেই। যেমনটা ঠিক আমি বাঁচি ও বেঁচেছি!!!... হয়তো প্রকাশিত হবে কোনো একদিন, কোনো একঅভিন্ন হৃদয়  ভোরের আমেজে...  কিছু আবদার রাখা আছে, তার আগে... আবদারের বাধ।ভাঙ্গা বাঁধের ইতিবৃত্যে এইবার পুনরায় রৌদ্র-চরায়  প্লাবন ভাসবে...!!! 






Saturday, October 8, 2016

বীজাঙ্কুর ( quotient /ratio of a synoptic cleavage )

বীজাঙ্কুর



জলের কলের নীচে পেতে দিচ্ছি
সমকোণে চোখ ধোঁয়া ওঠা দিঘীর অশ্লীল
সেচ্ছ্বা মৃত্যুর ভিতর পা গুছিয়ে জড়োসড়ো
বসে আছে ফুসফুস, সরু ফ্রেমের ধ্বংসস্তূপ
জলের লম্বা ধারা কানের ভিতর ঢূকে যাচ্ছে
নিরবিচ্ছিন্ন, একটা সাউন্ড ট্র্যাকের
চোখ রাঙিয়ে ওঠা; কেন্দ্রচ্যুত বস্তিবাড়ি
ভাতের মাড়, সাবানের জলে পিছল
উঠোন বললে ভুল হবে
আসলে বারান্দা
এখানেই কলের জল
এখানেই কুয়োর পাড়
শুকিয়ে গেলে দিব্যি মাদুরে লেপ্টে যাবে ঘুম



সামনে দিয়ে হেঁটে আসছে তিব্বতী লামা
তার পিছনে উপত্যকার বাদামী ফুল
দূরে একটা লম্বা ঝর্ণা
আপ্রাণ চেষ্টা করছি জলস্তম্ভ ঠেলে সোজা হওয়ার
মাথার ভিতরে জলগুলো বাষ্প হচ্ছে
ইভানের মতো দামী একটা ইউক্যালিপ্টাস্
মাটি ফুঁড়ে গুঁজ়ে দিচ্ছে পরিত্যাক্ত ক্ষুরধার
আকাশের দিকে তাকাচ্ছি না
তারাদের ঘুরে যাওয়া দাপুটে নাবিক নেই
যা কিছু ভাবছি আহা! ঘুড়ির মতোই
নীল মাছি, লাল ফড়িং সুতোয় বাঁধা;
একটা অচেনা উপত্যকায় হ্রদের মতো ঝুঁকে আছি




৩।
হঠাৎ মনে হছে, জলটা উপর থেকে পড়ছে
না, কান থেকে বেড়িয়ে কলের ভিতর ঢুকে যাচ্ছে!
জল খেতে এসেছিলাম এইটুকু মনে  আছে
পথ হাঁটা ধরা-বাঁধা গম্ভীর
পুতুলের মত দস্তাবেজ অনুপুঙ্খের
মেটালিক টাইপরাইটার
মাদুরে সাজিয়ে রাখা কিছু হ্যারিকেন
টালমাটাল উধাও হয়ে যাচ্ছে
জাহাজের নিরুপম
তিস্তা ব্রীজের থেকে ছুটে আসা বাইক
ভোরবেলা পুকুরের পাশে খেজুরের গাছ



সবটুকু জল ঢুকে যাবে
যেভাবে মদ ভরিয়ে দেয় যিশুর পেয়ালা
স্তোত্রপাঠ করছি অহঙ্কারের জোয়ারমুখী
ফুলে উঠছে; ঘুম
কিছুটা ঢেউয়ের স্নানঘর
কুয়োর ভিতরে একটা ভ্যাপসা লাম্পট্য
আমার আঙুলে শুধুই কাঁপাকাঁপা ব্যঞ্জনবর্ণ
ফিতা দিয়ে মেপে রাখা
জলের দৈর্ঘ্য বিন্দুর ব্যস ছিটকে পড়া
আকাশ, চোখের পাতায় রঙিন চাঁদোয়া



বিপন্ন বাধা চুল এলিয়ে পড়ল
রোদের অক্সফোরড, গুটিকয় অন্ধকার ভেজা
শব্দ, নামাজের আঁশটে অকশ্মাৎ
সমস্ত দেহ ভরে যাচ্ছে জলে
ফল্গুর মতো চোরাস্রোত
শ্বাসমূল দাউ দাউ , ভাঙ্গা ঘুড়ি
চেপে বসছে দোহারা পায়চারি
স্থির নাজেহাল চেষ্টা করছি মেঝেতে শুয়ে
কেন্নোটা যেন কানে না ঢোকে
কিছু ইঁট সুরকির গ্রামান্তর গুঁজে দিচ্ছি ঘুমানোর আগে



(জার্নি ৯০সে পুর্ব প্রকাশিত লেখা – ফিয়ে দেখা জেরোগ্রাফির বীজাঙ্কুর)




Wednesday, October 5, 2016

সুজাতা ( a curling TILOTTAMA...)

সুজাতা


ঘুরতে ঘুরতে সুজাতা এসে দাঁড়িয়েছে
রোম নগরীর ঘনিষ্ট কুঁড়ে ঘরে
ঘোড়ার রেসে বাজি ধরতো এক সময় সুজাতা
প্রতিদিন পাইনের সমগোত্রীয় ঋতুকাল আঁকড়ে
বাজী ধরতো সুজাতা আর
রেডিস খসড়াটা আমার দিকে ছুঁড়ে দিতো


আমি ভাবতাম সবচাইতে দাপুটে ঘোড়াটাই
আমার প্রাপ্য
রোমে্র কথা ভাবতাম আর ছুটতাম
ঘোড়ার রেসের বাইরেওবাতাসে সোঁ সোঁ শব্দ তুলে


ইস্তাহারে রাতের মহরতের কথা বলা ছিলো
টবের মাটিতে একটা গাছ রাখা মাথার কাছে
গোঁসাই  ঠাকুর  রাতের বেলা
সুজাতাকে আদর করতো  আর আভিবাদন বাক্য শেখাতো


আমার কেবল একটাই হাত
ল্যাসোর খেলা দেখাতাম অমনি পরিণত  মানুষমাফিক
আর ফাঁক পেলেই ঘোড়া ছুটিয়ে চম্পট

বিভ্রান্তির  মিউজিক্যাল  জাগলারি
এক হাতের লাগামে বিদায় কালীন দাপট
দেখেশুনে সুজাতা ভেবে নিয়েছিলো
ইস্তাহার বা আভিবাদন বাক্য আমি বাংলাতেই লিখব

পরির্ধিত অংশে খস্ খস্ শব্দ
হাতের গভীরে রাখা আছে আসম হাত
রোমের প্রোকনসালকে  দেখেছি  দেড়দিন ধরে পাহাড়া দিতে
গোঁসাই ঠাকুর তো উদাসীন বিভঙ্গে রাজপথে ঘুমন্ত

প্রোকনসাল জানেন সুজাতার মনমতো
পাইনবীজ দরকার
আর আমার চাই অনাবিস্কৃত ঘোড়াদের নাল


ইস্তাহার  তো  অনেকটা প্রশস্ত চওড়া হৃদয়ের করিডর

সর্বশ্রান্ত একটা পানপাত্র  মাঝরাতে  যেমতো  ন্যায় সঙ্গত

সীমানায় সহজিয়া ছড়ানো মদ
আনাহূত ছন্দের ঈশ্বর চেতনা
অন্তঃস্থলের হৃদয়ী জাদুকর

গভীরে গন্ধ ছড়ানো
ফুল আমার সতেজ অতি প্রিয়
প্রবাহের কাছে ভাসছি প্রস্তরীভূত  রংরুটে
সুজাতার চোখও প্রকট  ক্রমাগত

কালো একটা ঘোড়াকে  ডেসপারেটলি  ভালোবাসলে
                                                তা ইউনিকর্ণ হতে বাধ্য