Thursday, June 23, 2016

প্রতিভাস

কল্যানময়ী যাগগৃহ
সুতানট মৎসপ্রিয়া
স্তূতিযোগ্যা আঁশটে আতর
বেরুখী সা নিশুতি সায়ক
রহিত করেছো, যেন জলের কোনো দিক হয় না
কস্তুরী তিলক আঁকি তোমার আঁশটে গোচরে
সবটাই নির্ভুল ইন্দ্রায়ুধ হয়ে যাবে
সবটাই জেনো ঋতুবতী সুশোভনা
জল নিয়ে আসো আবছায়া
জল দিয়ে গড়ি ঐরাবত
জলের তলে ধরে রাখি মৃদুকম্পা
সত্যি আর কক্ষণো আসবে না!
তোমার ভোগ্য তুমিই প্রভূত
রুহ সা এক আয়ত তনহা
তুবড়ির মতো ফুঁসে উঠছি
ভীরু পাখীর নামে লুকিয়ে রাখছি
                   কাঙাল মেধাইন্দ্রী তৈজস
কান্নার জল জমিয়ে রেখে খাই
চারু জল ছিটিয়ে দিচ্ছি দশদিক
এতো রক্ষাকবজ লাগেনি কখনো
এতো বিশাল আয়োজন ছিল না
                    গর্ভবসু ঐ কি তবে অনুষ্টুপ সন্তানসম্ভবা!


Saturday, June 18, 2016

উপাচার

তোমার শিকড় আরো আরো গভীর ছুঁয়ে যাক
ঠিক মাটিকে ঘষে ঘষে প্রদীপ বানাও
কবিতারা উপাচারে এনে দিক মাঝরাত
এইভাবে গাছের শিকড়
রাতের আকাশের কাছাকাছি পাবে সন্ধ্যাতারা
তাকে তুমি পাতা ভেবে জমা রাখবে না জানি
তাকে তুমি কাক স্নান ভিজিয়ে দিয়েছো চৌরাস্তা
স্মৃতি থেকে মুছেই গিয়েছে ঋতুস্রাবে কি কি হ্য়
সারা দিনরাত মশারির ভিতর থাকি
যতক্ষণ মশারির আনাচে-কানাচে-শিয়রে আষাঢ়
নিজেকে আঁশটে লাগে না
মা বলে বলে হদ্য হয়ে যাচ্ছে মশারি গোটা
বালিশ ভাঁজ করে রাখ
রাক্ষুসে পুনশ্চ নিয়ে মাকে শুধরে দিই
গলা টিপে ধরে বলি, এইসকল সয়ে নেবো
সব ভুলে বীজ আঁকো, পরাগে লাগুক সুবাতাস
ঈহিনী তুমি বেশী করে জাপটে নিও ঘরকে তোমার
অভিশাপ এসে স্থাণুবৎ আটকে ধরুক মরা দু’পা
ভাঙনের ডাকনামে সাড়া দিক চক্রায়ূধ কোটিবন্ধ
ঠোঁটে দাঁত গেঁথে গড়িয়ে নামছে রক্তের ক্ষিপ্যমাণ
পাথরের শরীর থেকে লার্ভাশুয়োর আলিঙ্গন
তুলে আনছি, তুলে আনছি নিশ্চুপ প্রার্থনা
শুধুতো শুধুই-তো মাত্র শব্দ কয়টা 



Monday, June 13, 2016

অর্কিড


আঁকছি তোর বক্র রেখায় কিছু প্রিয়দর্শী বোমারু মগ্নবাস
প্রতি মুহূর্ত যেন হয়ে ওঠা না মেলা সূত্রের সংখ্যালঘু
অচেনা ক্রমশ চাপিয়ে দিচ্ছি বৌদ্ধ নিনাদ
ফাগুয়া এখন বিষাদের দিকে পাড়ি জমাচ্ছে
আর ভাঙছি অস্ফুট! কি বেগতিগ ভারাক্রান্ত
হাঁটু উঠে আসতেই বিভেদের অলিখিত ক্ষণ ধরা দিল
প্রতি স্তর খুলে খুলে নিজেকেই এবার শাপ শাপান্ত
কেটে খাচ্ছি নিজের ছায়ার চৌকো শংসাপত্র
আহা! সেই তো নিয়মমাফিক গুড়িয়ে দেওয়া পুনরুদ্ধার
ধর্মের কথায় সুচারু হাসছে বুদ্ধ অনবরত
ওদিকে অ্যাবডোমেনের ঘষামাজায় তীক্ষ্ণ ধূপের গন্ধ

শুধু মায়ের মুখই মনে আসে চোখ বুজলে
আর প্রতিসরণ যোগ্য রুক্ষ রেটিনা

প্যারাসুট ভেদ করে ক্রমশ প্রশ্নোত্তরের সাড়ম্বর
মুছে রাখা সিঁড়িদের যৌথ রেখা
প্রতিটা ধাপ যেখানে অগত্যা পারস্পরিক তাকাবে

মোম জ্বালিয়ে আঁধার আঙুলকে শিখিয়েছিস সৌন্দর্যরাশি
আসলে ধর্মের বাইরে তো এ পৃথিবী কক্ষণো যেতে পারবে না

মিশ্র পাহাড়টা অপদার্থ ফল্গুর মতো বন্ধুসুলভ
আপ্রাণ চুম্বন আঁকছে কৌশলহীন, ফ্লোরাল প্রিন্টের উপশিরায়


মায়ের মুখের পাশে ছড়িয়ে যাক জেহাদী অর্কিড ও যাদুবিচ্ছুরণ।